en

রাঙ্গামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান, উপজেলা এবং রাঙ্গামাটির আরও কিছু উপকারী তথ্য

বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার সাথে ভারত এবং মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। রাঙ্গামাটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন জেলা। জেলাটি পার্বত্য জেলার অন্তর্গত। এই জেলা ১৮৬০ সালে গঠিত হয় এবং আয়তন ৬১১৬ প্রায় বর্গকিলোমিটার। রাঙ্গামাটি আয়তনে বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা। 


উপজেলা সমূহঃ রাঙ্গামাটি জেলায় উপজেলার সংখ্যা ৯ টি যথা- রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, কাউখালী, বাঘাইছড়ি, বরকল, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি এবং নানিয়ারচর।

দর্শনীয় স্থান সমূহঃ রাঙ্গামাটিতে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান আছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী রাঙ্গামাটির বিখ্যাত পর্যটন স্থান সমূহ দেখতে আসে। নিচে রাঙ্গামাটি জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম সম্পর্কে আলোচনা করা হল। তাছাড়া কীভাবে রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারেন সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হল।

১. কাপ্তাই হ্রদ - দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখানে অবস্থিত।
২. ঝুলন্ত সেতু
৩. রাজবন বিহার
৪. শুভলং ঝর্ণা
৫. সাজেক 
৬. উপজাতীয় যাদুঘর
৭. কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান
৮. পেদা টিং টিং
৯. ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি
১০. বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সেনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি ভাস্কর্য ইত্যাদি।

আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউজ সমূহঃ রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের থাকার জন্য জেলা পরিষদ ডাক বাংলো এবং সরকারি রেস্ট হাউস ছাড়াও অনেক বেসরকারি হোটেল রয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার উল্লেখযোগ্য হোটেলগুলো হল- উসাই রেস্ট হাউজ, হোটেল সুফিয়া, হোটেল গ্রীণ ক্যাসেল, মোটেল জজ, হোটেল আল-মোবা, হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল শাপলা, হোটেল ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি।

কিভাবে যাবেন? রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করার জন্য ঢাকা থেকে রেল, বাস কিংবা বিমান যোগে চট্টগ্রাম এবং সেখান থেকে বাসে করে রাঙ্গামাটি ঘরে আসতে পারেন। মনে রাখতে হবে রাঙ্গামাটি জেলায় কোন রিকশা চলে না। কারন পাহাড়ি এলাকা। এখানে নিজেদের ঘারি নিয়ে যাওয়াও মুশকিল। যেকোনো সময় পাহাড়ি রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে চাঁদের গাড়িই ভরসা।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো