en

ব্যবসা করতে হলে টাকা লাগে না লাগে শুধু চেষ্টা

ব্যবসা সবার নিকটই অত্যন্ত জনপ্রিয় পেশা। অনেকেরই একটা ভাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাড় করানোর ইচ্ছা থাকে। কিন্তু অধিক পুঁজি এবং ঝুকির জন্য ব্যবসা করতে চায় না। তবে একটা সময় ছিল যখন ব্যবসা করতে অধিক মূলধন দরকার হত কিন্তু বর্তমান যুগে ব্যবাসা করার জন্য খুব বেশি টাকা প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে ব্যবসা করার জন্য আপনার অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং স্বল্প মূলধনই যথেষ্ট। ব্যবসা করে সফল হওয়ার জন্য সঠিক ধারনা, ইচ্ছা শক্তি, অভিজ্ঞতা এবং পরিশ্রমী হওয়া চায়।

ইচ্ছা শক্তি

শুধুমাত্র ব্যবসা নয় যেকোনো কাজে সফল হওয়ার জন্য অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকা দরকার। আপনার ইচ্ছা শক্তিই আপনাকে যেকোনো কাজের দিকে উৎসাহিত করে। ইচ্ছা শক্তি আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করবে, সফলতার জন্য যা অত্যন্ত জরুরী। ইচ্ছা শক্তি ব্যবসা সম্পর্কে আপনার ধারণা বৃদ্ধি করবে যা ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। ইচ্ছা শক্তি কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে যা সফলতার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

সঠিক ধারনা:

ব্যবসা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে বাস্তবমুখী বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রাখা দরকার। ব্যবসার পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যবসার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রাকৃতিক এবং আইনগত পরিবেশ খুব ভালভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। কেননা এই সকল পরিবেশের মধ্যেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়।

তাছাড়া ব্যবসার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা জরুরী। পরিকল্পনা ভবিষ্যৎমুখী হওয়া দরকার। অতীতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আলোকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কেননা পরিকল্পনা ব্যবসার সার্বিক পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।

কঠোর পরিশ্রম

সফলতার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। কারন আপনি ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা করে বসে থাকলেই হবে না। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিশেষ করে ব্যবসা শুরুর পর্যায়টাতে অনেক ঝামেলা সহ্য করতে হয়।

প্রথম দিকে ব্যবসার সকল উপকরণ যথা মূলধন, কাচামাল, সময় এবং সঠিক পদ্ধতির ঘাটতি থাকে। এই সকল ঘাটতি পূরণ করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তবে একবার ব্যবসা গঠন করে পরিপূর্ণভাবে শুরু করার পর খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না।

সঠিক ব্যবস্থাপনা

ব্যবসা করে সফল হতে সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী। কেননা ব্যবস্থাপনা হচ্ছে ব্যবসার প্রাণ। ব্যবস্থাপনা ব্যবসার প্রত্যেকটা অঙ্গ তথা প্রত্যেকটা দিকের পূর্ণাঙ্গ বিন্যাস গঠন করা হয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। ব্যবস্থাপনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখে। ব্যবস্থাপনা ব্যবসার প্রত্যেকটা উপকরণ যথা শ্রমিক কর্মী ব্যবস্থাপনা, কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বিপণন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।

এই সকল ব্যবস্থাপনা মিলেই হল ববসা। ব্যবস্থাপনার কোন একটা উপাদান যদি পুরনাঙ্গভাবে ব্যবহার করা না যায় তাহলে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। সেই জন্য ব্যবসার প্রত্যেকটা বিষয় তথা ব্যবস্থাপনার প্রত্যেকটা দিক ভালভাবে বুঝে সঠিক প্রয়োগ করতে হবে তা না হলে ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব নয়।

বিপণন পারদর্শিতা

ব্যবসার প্রত্যেকটা কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিপণন। বিপণন বলতে বোঝায় আপনার পণ্য বা সেবা গ্রাহক কিংবা ভোক্তার নিকট পৌঁছে দেয়া। আপনি অনেক সফলতার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন করেছেন, সবকিছু ঠিকঠাক মত করেছেন কিন্তু পণ্যের বাজারজাতকরণ সঠিকভাবে করতে পারেন নি তাহলে সব বৃথা।

কারন আমরা পণ্য কিংবা সেবা উৎপাদন করি ভোক্তার ব্যবহারের জন্য। সেই জন্য পণ্যের বাজারজাতকরনের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। বর্তমানে পণ্যের বাজারজাতকরন অনেক সহজ। ইন্টারনেট এবং ফেসবুকের কল্যাণে আপনি খুব সহজেই ভোক্তার নিকট আপনার পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারেন অল্প ব্যয়ে যা ব্যবসার জন্য খুবই দরকার।

ব্যর্থতা মেনে নেওয়ার মানসিকতা

ব্যবসা করতে গিয়ে সবকটা কাজ ঠিকঠাক করার পরেও ব্যর্থতা আসতেই পারে। কারন ব্যর্থতা সফলতা মিলিয়েই জীবন। আমরা বিখ্যাত অনেক ব্যক্তিকে দেখেছি যারা বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরও হাল ছেড়ে দেয়নি।

ব্যর্থতা আপনাকে শেখাবে কিভাবে সফল হতে হয় এবং কিভাবে ব্যর্থতা এড়িয়ে যেতে হয়। সেই জন্য ব্যর্থ হওয়ার পর আত্মবিশ্বাস হাড়িয়ে বসে থাকলে আপনি শুধুমাত্র ব্যর্থই হবেন, কখনোই সফল হতে পারবেননা।

সবকিছুর পর বলতে চাই, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে মূলধন মূল বিষয় নয়। আপনি ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই অনেক যুগোপযোগী এবং লাভজনক ব্যবসার ধারণা পাবেন যেখানে খুব সহজেই অল্প খরচে ব্যবসা করতে পারবেন। সেই জন্য বেশি বেশি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে হবে। ব্যবসা সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং সফল ব্যক্তিদের জীবনী থেকে ব্যবসার উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং নানাবিদ কৌশল শিখতে হবে যা আপনার এগিয়ে যাওয়ার পথে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো