en

খুলনা বিভাগের জেলা , উপজেলা এবং পৌরসভা (মানচিত্র সহ)

খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। খুলনা বিভাগের দক্ষিণ ভাগ জুড়ে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং পশ্চিমে ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত। তাছাড়া খুলনার পূর্বে বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগ এবং উত্তরে রাজশাহী বিভাগ অবস্থিত। খুলনা বিভাগে মোট ১০ টি জেলা , ৫৯ টি উপজেলা এবং ৩৬ টি পৌরসভা রয়েছে। নিচে খুলনা বিভাগের জেলা সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নোক্ত মানচিত্র থেকে খুলনা বিভাগের অবস্থান দেখুন।

বাগেরহাট জেলা

খান জাহান আলীর স্মৃতি বিজড়িত বাগেরহাট জেলা পূর্বে খলিফাতাবাদ নামে পরিচিত ছিল। বাগেরহাট জেলার দক্ষিনাংশ জুড়ে রয়েছে সুন্দরবন। জেলাটি মধুমতী নদীর তীরে অবস্থিত। জেলাটি ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা বাগেরহাটে অবস্থিত। এই জেলায় মোট ৯ টি উপজেলা ফকিরহাট, বাগেরহাট সদর, মোল্লাহাট, শরণখোলা, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, মোংলা ও চিতলমারী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা

১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল কেরু এন্ড কোং চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত। এই জেলার আয়তন প্রায় ১১৭৪ বর্গকিলোমিটার। চুয়াডাঙ্গা জেলার উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর মোট চারটি।

যশোর জেলা

মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত যশোর জেলা। এর পূর্ব নাম খলিফাতাবাদ। যশোর বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২৬০৬ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল নিয়ে ১৭৮১ সালে যশোর প্রশাসনিক জেলা ঘোষণা করা হয়। এই জেলার মোট উপজেলা হচ্ছে মণিরামপুর, অভয়নগর, বাঘারপাড়া, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, কেশবপুর, যশোর সদর ও শার্শা মোট ৮ টি।

ঝিনাইদহ জেলা

ঝিনাইদাহ জেলা ১৯৮৪ সালে ঘোষণা করা হয়। এই জেলার আয়তন ২৬০৬ বর্গকিলোমিটার। ঝিনাইদাহ জেলাটি নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ উভয় জেলায় পরেছে। ঝিনাইদহের উপজেলার সংখ্যা ৬ টি। উপজেলাগুলোর নাম হল- ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর।

খুলনা জেলা

জাহানাবাদ খ্যাত খুলনা জেলা ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। খুলনা অঞ্চলকে বাংলাদেশের কুয়েত সিটি বলা চিংড়ি চাষের জন্য। এই জেলার দক্ষিণ ভাগে সুন্দরবন অবস্থিত। খুলনার আয়তন প্রায় ৪৩৯৪ বর্গকিলোমিটার। খুলনা জেলায় মোট পাইকগাছা, ফুলতলা উপজেলা, দিঘলিয়া উপজেলা, রূপসা উপজেলা, তেরখাদা উপজেলা, ডুমুরিয়া উপজেলা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ উপজেলা ও কয়রা উপজেলা ৯ টি উপজেলা।

কুষ্টিয়া জেলা

নদীয়া খ্যাত বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা লালন শাহের স্মৃতি বিজড়িত স্থান। জেলাটি গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন প্রায় ১৬০৮ বর্গকিলোমিটার। কুষ্টিয়ায় মোট কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, দৌলতপুর, ভেড়ামারা এই ছয়টি উপজেলা রয়েছে।

মাগুরা জেলা

বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরমুক্ত জেলা মাগুরা। জেলাটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাগুরা জেলা কুমার ও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত। মাগুরা জেলার আয়তন প্রায় ১০৩৯ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ক্রিকেতার সাকিব আল হাসানের বাড়ি মাগুরা জেলায়। এই জেলার মোট শালিখা, শ্রীপুর, মাগুরা সদর ও মহম্মদপুর এই ৪ টি উপজেলা রয়েছে।

মেহেরপুর জেলা

মেহেরপুর বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা। মেহেরপুর থেকেই বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর বলা হয়। এই জেলার আয়তন প্রায় ৭৫১ বর্গকিলোমিটার। জেলাটি গঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। মেহেরপুরে মোট ৩ টি উপজেলা মুজিবনগর, মেহেরপুর সদর ও গাংনী।

নড়াইল জেলা

নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাসরাফি বিন মুর্তজার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে। নড়াইল জেলা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ৯৬৭ বর্গকিলোমিটার। নড়াইলের উপজেলার সংখ্যা মোট ৩ টি নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া।

সাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা। এর দক্ষিণ বাগে রয়েছে সুন্দরবন এবং পশিমে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা। জেলাটি পাঙ্গাসিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। সাতক্ষীরা জেলা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন প্রায় ৩৮১৭ বর্গকিলোমিটার। সাতক্ষীরা জেলায় মোট ৭ টি উপজেলা আশাশুনি, দেবহাটা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর, তালা এবং কালিগঞ্জ।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো