en

ব্যবসা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জেনে ব্যবসা শুরু করুন

বর্তমান যুগ ব্যবসায়ের যুগ। ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যেকোনো দেশ খুব সহজে উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে। কারন ব্যবসায়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়, বেকারদের কর্মসংস্থান হয়, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে এবং ভোক্তা খুব সহজে প্রয়োজনীয় সেবা পেয়ে উপকৃত হয়। কিন্ত ব্যবসা করতে হলে ব্যবসায়ীকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। তাহলে সফলভাবে ব্যবসা করে নিজের সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। তাই সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে নিজের ভাগ্য উন্নয়ন করতে নিম্নোক্ত তথ্য জানুন।ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে যে যে ধরনের ব্যবসা রয়েছে সে সর্ম্পকে ধারণা নিতে হবে। তারপর স্থির করতে হবে আপনি কী ধরনের ব্যবসা করতে চান। বাংলাদেশে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে। যেমন -

১) একমালিকানা ব্যবসায় - এই ব্যবসায়ে মালিক একজন। তিনি একাই সব মূলধন সরবরাহ করেন এবং সমুদয় মুনাফা একাই ভোগ করেন।

২) অংশীদারী ব্যবসায় - চুক্তি এই ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। এই ব্যবসায়ের সর্বনিম্ন সদস্য ২ জন এবং সর্বোচ্চ ২০ জন। চুক্তির শর্তানুযায়ী ব্যবসায়ের যাবতীয় ঝুঁকি ও মুনাফা বন্টিত হয়।

৩) যৌথমূলধনী - এই ব্যবসায়ে অংশীদারদের মধ্যে শেয়ার অনুপাতে লাভ ও ক্ষতি বন্টিত হয়।

৪) প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি - এই ব্যবসায়ের সর্বনিম্ন সদস্য ২জন এবং সর্বোচ্চ ৫০জন।

৫) পাবলিক লিঃ কোঃ-এই ব্যবসায়ের সর্বনিম্ন সদস্য ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ।

৬) ক্ষুদ্র ব্যবসায় - এই ব্যবসায়ের মূলধন ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ঘরোয়া পরিবেশে অথবা ইচ্ছা করলে বাইরে ও এই ব্যবসায় শুরু করা যায়।

বর্তমানে অনলাইনে ও অনেক ধরনের ব্যবসা করা যায়। যেমন - জামা কাপড়, হাতের তৈরি কোন জিনিস, বিভিন্ন পরামর্শমূলক ব্যবসা, হাতের তৈরি খাবার, কুটির শিল্পের বিভিন্ন জিনিস ইত্যাদি।

এসব কিছু জানার পর আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করার যোগ্য। আপনার মূলধন কত? আপনি সফলভাবে ব্যবসাটি চালাতে পারবেন কিনা? এছাড়া আপনার এই বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা? আপনি অন্যের সাথে খুব সহজে মিশতে পারেন কিনা?

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো