en

বাংলাদেশের কিছু ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় পোশাক-আশাক

বাংলাদেশের মানুষের নিজস্ব কিছু বিশেষ পোশাক-আশাক আছে যা নিজেদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি বহন করে গোটা বিশ্বময়। পৃথিবীর যেখানেই বাংলাদেশের মানুষ থাকুকনা কেন তাদের পরনে কিংবা ব্যাগের ভেতর বাঙ্গালীর এই সব পোশাক থাকবেই। এই সব পোশাক বাংলাদেশের মানুষের পূর্বপুরুষদের হাজার বছরের স্মৃতি বহন করে চলছে। তবে বর্তমান পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং বিশ্বময় পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রসারের পথ ধরে আমাদের এই সকল নিজস্ব সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন। সুতরাং আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি এবং সভ্যতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন এবং সেগুলো সংরক্ষণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।পোশাকের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় দেখে থাকি সময়ের সাথে সাথে পোশাকের পরিবর্তন হয়। যেমন একসময় মহিলারাদের মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল শাড়ির বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ছিল। আর পুরুষরা টুপি, আচকান, চোগা ও পাগড়ি এসব পোশাক পরত।

এরপর উনিশ শতকের শেষ এবং বিশ শতকের শুরু অর্থাৎ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কালে পুরুষরা পশ্চিমা রীতির শার্ট, প্যান্ট, স্যুট ও টাই পরতে শিখেছে। তখনকার সময় কোর্তা বা পাঞ্জাবি এর উপরে কটি এবং বাম কাঁধে চাদর বা শাল ছিল আনুষ্ঠানিক পোশাক।

কিন্তু দিন যতই অতিবাহিত হয়েছে মানুষ ততই অফিসের জন্য এবং জাতীয় ও সরকারি অনুষ্টানে পাশ্চাত্য পোশাক বেশি করে পরেছে। নব্বই দশক থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে শাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব সংঘটিত হয়।

বস্ত্রকল থেকে উৎপন্ন মিহি সুতি শাড়িতে দেখা যায় নতুন রং এবং চমকপ্রদ নকশারীতি। নানা রঙের এবং বিভিন্ন নকশার এসব সুতি শাড়ি ছাড়া ও বিভিন্ন অনুষ্টান এবং অফিস আদালতে মহিলারা সিল্ক শাড়ি ও পরছে। এছাড়া মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক হিসেবে থ্রিপিস পরছে।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো