en

হুমায়ূন আহমেদ এর জীবনী, কবিতা, নাটক, গল্প এবং উপন্যাস সমগ্র

বাঙ্গালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ অন্যতম। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার,নাট্যকার এবং গীতিকার। এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদ নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও খ্যাত। হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাংলায় প্রেমের গল্প, কবিতা, প্রেমের উপন্যাস লিখে জাতির অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট হিমু , মিসির আলি , শুভ্র চরিত্রগুলো বাংলাদেশের যুবক শ্রেণিকে আকৃষ্ট করেছে। হুমায়ুন আহমেদ এর টেলিভিশন নাটক খুব দর্শকপ্রিয়। তার অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া এবং মধ্যাহ্ন জোসনা ইত্যাদি। তার নির্মিত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের মধ্যে দুই দুয়ারী, ঘেঁটুপুত্র কমলা, শ্রাবণ মেঘের দিন ইত্যাদি।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোনা মহকুমার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। তার পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মাতা আয়েশা ফয়েজ। তার বাবা সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন। পরিবারে সাহিত্য মনস্ক আবহাওয়া ছিল।

হুমায়ূন আহমেদের অনুজ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান শিক্ষক। তার ছোট ভাই আহসান হাবীব রম্যসাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। ছোটবেলায় হুমায়ুন আহমেদ এর নাম রাখা হয় শামসুর রহমান। ডাক নাম কাজল।

কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ বাবার চাকরীর সুত্রে দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করেন। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভারসিটি থেকে পলিমার রসায়নে পিএইচডি লাভ করেন।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে হুমায়ুন আহমেদ তার কর্মজীবন শুরু করেন। এই সময় তিনি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তোমাদের জন্য ভালবাসা রচনা করেন। এছাড়া তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রজীবনে নন্দিত নরকে উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য জীবনের শুরু। শঙ্খনীল কারাগার হুমায়ূন আহমেদের ২য় গ্রন্থ। কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো গল্প - সমৃদ্ধি।

তিনি গল্প ও উপন্যাসে সংলাপ ও অতিবাস্তব ঘটনাবলির অবতারণা করেন যাকে একরূপ যাদু বাস্তবতা হিসেবে গণ্য করা যায়। তার পরিমিত বর্ননার মাধ্যম নেতিবাচক চরিত্রগুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হলো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত মধ্যাহ্ন উপন্যাসটি। তবে হুমায়ুন আহমেদ সাধারণত সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে লিখে থাকেন।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো