en

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা কি এবং ধারাটি এতো সমালোচিত কেন?

উত্তর(১):- এতে ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও এর দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে- '(এক) কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (দুই) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।'

এই ধারা ঘোষণার পর বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাদের অভিযোগ সরকার গণমাধ্যমের ও সাধারান মানুষের কণ্ঠরোধ করতেই এই ৫৭ ধারা প্রণয়ন করেছে। ৫৭ ধারায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং অনলাইন এক্তিভিস্তকে গ্রেফতার করেছে। যদিও এই ধারার বর্ণিত বিষয়সমূহ খুবই যৌক্তিক কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আইনের অপব্যবহার যা হরহামেশাই বাংলাদেশে হয় আসছে।

আরও জানুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো